ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশকে পথ দেখায়, সাংবাদিক সমিতি ঢাবিকে এগিয়ে নেয়

Published : ১৯:৩০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, বাংলাদেশকে পথ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), আর সেই ঢাবিকে পথ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ডাকসু নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ডুজা সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনে ডাকসুকে শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে সাংবাদিক সমিতির সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে নবনির্বাচিত নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য দেন।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ঢাবির প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে একটি শক্তিশালী দলীয় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে নিয়মিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যেমন একাডেমিক ক্যালেন্ডারে সেমিস্টারের জন্য সময় নির্ধারিত থাকে, তেমনি ডাকসুর নির্বাচনের জন্যও বাধ্যতামূলক সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবছর ডাকসুর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ডাকসুকে প্রকৃত অর্থেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সাংবাদিক সমিতি ছিল অগ্রণী ভূমিকায়। হাসিনার শাসনামলে ছাত্রলীগের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যখন কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি, তখনও ডুজার সদস্যরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নির্বাচনকালীন সময়েও সাংবাদিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে ভোটারদের আস্থা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুরক্ষা দিয়েছেন।
এ সময় ডাকসুর সহ-সভাপতি ফরহাদ শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে ‘ডিজিটাল কমপ্লেইন বক্স’ চালুর ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ক্যান্টিনের খাবারের মানোন্নয়ন, স্টাফ ও ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণ এবং ডাকসুর সব আর্থিক কার্যক্রম অডিটের আওতায় আনার পরিকল্পনার কথাও জানান।
জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা কাউকে শিবির, মুসলিম, হিন্দু বা অন্য কোনো পরিচয়ে ভাগ করতে চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব। কে আমাদের পক্ষে ছিল বা বিপক্ষে ছিল সেটা নয়—শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই ডাকসুর লক্ষ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাবির অগ্রযাত্রায় সাংবাদিক সমিতি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আমরা চাই প্রতিটি জায়গায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হোক। ক্যাফেটেরিয়া, রেজিস্ট্রার ভবন, গবেষণা লাইব্রেরি—যেখানেই সিন্ডিকেট থাকবে, সেখানে পরিবর্তনের জন্য ডাকসু চাপ সৃষ্টি করবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, বর্তমানে ডাকসুর প্রতিনিধিরা সিনেটের সদস্য হলেও সিন্ডিকেটের সদস্য নন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্ত আসে সিন্ডিকেট থেকেই। তাই ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হবে।
BD/AN