বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সুপারিশ একপক্ষীয় এবং তা জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অযৌক্তিক এবং অবিবেচনাপ্রসূত।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রয়োজনে বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদ সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনা চলাকালীন সময়ে কিছু বিষয় নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছিল। জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ প্রণয়নের সময় নোট অব ডিসেন্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, যে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট যদি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সকল কার্যক্রম বিটিভি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হয়েছে, যা পুরো জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। এরপর ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আলোচনার মাধ্যমে প্রণীত সনদে স্বাক্ষর করেছি। তবে সেই দিনে চূড়ান্ত কপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।
তিনি জানান, পরবর্তীতে প্রিন্টেড কপি হাতে পাওয়ার পর দেখা গেছে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সম্মত কয়েকটি দফা আমাদের অগোচরে পুনরায় সংশোধন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি অফিসে টাঙানোর বিষয়টি [অনুচ্ছেদ ৪ (ক)] চূড়ান্ত সনদে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এছাড়া সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম তফসিল) বিলুপ্ত করার বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবকে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল সমর্থন করলেও, চূড়ান্ত সনদে তা অগোচরে সংশোধিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


































