‘বিএনপির ৩১ দফা: গুণীজন ভাবনা’ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

‘বিএনপির ৩১ দফা: গুণীজন ভাবনা’ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১১:৩৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

তার মতে, এ দফাগুলো যেন শুধুই রাজনৈতিক অঙ্গীকার হয়ে না থাকে; বাস্তবে প্রয়োগের মাধ্যমে এগুলো কার্যকর করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটের ডেইলি স্টার ভবনে বাংলাদেশ টুমরো ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএনপির ৩১ দফা: গুণীজন ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মামুন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক মাহমুদ হোসেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, ইউনাইটেড নেশনের সিভিল সোসাইটি রিপ্রেজেন্টেটিভ আবুল কাশেম শেখ, আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা।

বক্তারা আলোচনা করতে গিয়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনার ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থানকে যথাযথ বলে অভিমত দেন। তারা বলেন, এই অনুচ্ছেদে পরিবর্তন না আনলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে প্রস্তাবিত মিডিয়া কমিশন কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার ভেতরে–বাইরে অবস্থানের পার্থক্যে গণমাধ্যম ভাবনা কীভাবে বদলায়—সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া ‘রেইনবো নেশন’ ধারণা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ব্যাখ্যার প্রয়োজন উল্লেখ করেন অনেকে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, নারী অধিকার ও শিক্ষা খাতে আরও জোরালো গুরুত্ব দেওয়া যেত। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও তা গুণগত মানে পর্যাপ্ত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে ৩১ দফা বাস্তবায়নের আগে একটি রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ব্যাপক হওয়ায় ৩১ দফা বাস্তবায়ন ততটা সহজ নয়। কাঠামোগত ও গুণগত দুর্নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

গোলটেবিল বৈঠকের সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ টুমরো ফোরামের চেয়ারম্যান রাজ মাসুদ ফরহাদ জানান, এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির ৩১ দফার প্রশংসা ও সমালোচনা—দুটোই শুনে বোঝা, কোন ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ আছে এবং কোন প্রস্তাবে আরও সংশোধন বা সংযোজন করা যেতে পারে।

পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নুসরাত লাবনী।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement