বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একই ধরনের চরিত্রের বলে উল্লেখ করেছেন।
রিজভী বলেন, “ভূতের মুখে এখন রাম নাম।” তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় পার্টি এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাবের অভিযোগ তুলছে, অথচ তারা পূর্বে শেখ হাসিনার শাসনামলে সহযোগী ছিল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করায় গণতন্ত্র ফেরাতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। নব্বইয়ের দশকে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “এরশাদ এবং হাসিনা একই চরিত্রের। তারা গণতন্ত্রকে ছুরির আঘাত দিয়েছে। এরশাদ ব্যাংক লুট করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা তার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন।” রিজভী দাবি করেন, বিএনপি নানা ধরনের পীড়নের শিকার হয়েছে। বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এবং তাঁর বর্তমান অসুস্থতা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “হাসিনা চক্রান্ত করে বেগম জিয়ার খাবার ও ওষুধের মাধ্যমে তাকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।”
রিজভী আরও উল্লেখ করেন, প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের সাজা হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের আমলে আদালতে হস্তক্ষেপের বাইরে। তিনি বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী বলছেন একই কায়দায় সব হচ্ছে, কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতায় কোনো রাজনৈতিক দল নেই, তাহলে আদালতের বিচার কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে? তাঁর মতে, যা হচ্ছে তা হলো হাসিনার তৈরি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার।
বিএনপি নেতা বলেন, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গুম-খুন এখন হচ্ছে না, এবং বর্তমান সরকার কোর্টকে প্রভাবিত করতে পারছে না। তিনি বলেন, যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করেছে, তাদের বিচার হবেই। পাপ ও অপরাধ বাপকেও ছাড়ে না।
শেষে রিজভী উল্লেখ করেন, ব্যাংকের টাকা ফেরত না দেওয়া, ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এবং পুনরায় ঋণ নেওয়ার সংস্কৃতি হলো “হাসিনোমিকস।”
