হাদিকে নিয়ে মির্জা ফখরুল যা বললেন
Published : ১৬:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন—এ খবর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুকের ভাষ্য অনুযায়ী, দুপুর আড়াইটার কিছু পরই তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বাম কানের নিচে গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যে কোনো ধরনের ভয়ভীতি, দমন-পীড়ন বা শক্তির ব্যবহার সমাজের সকল অংশের মানুষকেই প্রত্যাখ্যান করা উচিত। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার সুস্থতা কামনা করে তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এর আগেই, গত ১৩ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ওসমান হাদি দাবি করেছিলেন যে তিনি হত্যার হুমকি পাচ্ছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে তাকে ক্রমাগত নজরদারিতে রাখা হচ্ছে এবং পরিবারসহ তাকে ভয়াবহ নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, মাত্র তিন ঘণ্টায় অসংখ্য বিদেশি নম্বর থেকে তাকে কল ও বার্তা পাঠানো হয়েছে, যেখানে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পরিবারকে নির্যাতন এবং তাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি লেখেন, এক আবরারের হত্যায় যেমন অসংখ্য আবরার তৈরি হয়েছে, তেমনি তাকে হত্যা করলেও ন্যায় ও সত্যের পথে আরও বহু হাদি সৃষ্টি হবে। স্বাধীনতার দাবিতে জনগণের উচ্চারণ কখনো দমন করা যাবে না, এমন বিশ্বাস ব্যক্ত করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের পরিবার এবং সহযোদ্ধাদের ঈশ্বরের হাতে সোপর্দ করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
বিডি/এএন




























