দেশের আলোচিত ও বহুমাত্রিক সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু—কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আবারও জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে সরগরম আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই পুনরায় আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। অতীতেও বিভিন্ন ধরণের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন হিরো আলম। এবারও এমপি পদে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তিনি।
তবে এবারের সিদ্ধান্তে রয়েছে ভিন্নতা। এবার আর তিনি স্বতন্ত্র নন, বরং দলীয় প্রতীকেই ভোটযুদ্ধে নামতে পারেন বলে জানিয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তিনি আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হলেও, কোন দল থেকে প্রার্থী হবেন—তা এখনো স্পষ্ট করেননি। কারণ, ইতোমধ্যেই চারটি রাজনৈতিক দল তাকে প্রার্থীতা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
হিরো আলম জানান, অতীতে তিনি বারবার স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়ালেও এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কয়েকটি রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, এমনকি প্রতীক নিশ্চিত করেও অফার দিয়েছে। তবে তিনি এখনো চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
তার কথায়, চারটি দলের নেতারা ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছেন, ফোনেও কথা বলেছেন। সবার পক্ষ থেকেই তাকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি কাউকে প্রতিশ্রুতি দেননি। তার দাবি—তিনি জনগণের উপকার হবে এমন সিদ্ধান্তই নেবেন।
কোন কোন দল যোগাযোগ করেছে—জানতে চাইলে তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদ, আমজনতার দল, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন।
হিরো আলম বলেন, দল যাই হোক না কেন, তাঁর লক্ষ্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি চান এমন একটি দলের হয়ে নির্বাচন করতে, যেটি তাকে জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ দেবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিয়মিত প্রচারণা, সাহসী বক্তব্য, সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ এবং ভিন্নধর্মী অবস্থানের মাধ্যমে হিরো আলম বারবার আলোচনায় এসেছেন। এবারের নির্বাচন যদি তিনি দলীয় প্রতীকে লড়েন, তাহলে এটি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নতুন মোড় নিয়ে আসবে।


































