সরকারি চাকরিজীবীরা নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে এবার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী,
আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ না করা হয়, তবে ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা কঠোর আন্দোলন ও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবেন। অর্থাৎ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আন্দোলন অনিবার্য বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
এই দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন পে স্কেল ঘোষণা কোনো সহজ বিষয় নয়; বিষয়টির সঙ্গে বহু দিক ও জটিলতা জড়িত। সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া এত অল্প সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করা বাস্তবে সম্ভব নয়। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কাজ করছে এবং প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এর আগে রাজধানীর একটি হোটেলে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় তিনি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন বাস্তবায়ন এবং নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো—অনেক ভালো প্রকল্প নেওয়া হলেও সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় না। আইনগত দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক জটিলতা মিলিয়েই এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে। এসব ক্ষেত্রে আরও শক্তভাবে নজরদারি ও সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
নারী উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থ উপদেষ্টা জানান, ঋণ নিয়ে উদ্যোগ সৃষ্টি করলে ব্যক্তি ও পরিবার উপকৃত হয়। তার মতে, নারীরা হিসাবি, পরিশ্রমী এবং পরিবারের অর্থনৈতিক কল্যাণে কার্যকরভাবে ব্যয় করেন, তাই তাদের উদ্যোক্তা বানাতে হবে আরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, শহরে সম্পদের বিস্তার বাড়লেও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ভারসাম্য তৈরি করে গ্রামকেও উন্নত ও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। এসডিএফের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করা, সুবিধাভোগী বাড়ানো এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও গভীর করা সময়ের দাবি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনার জন্য গঠিত পে কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কমিশনের হাতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে।


































