সমাবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ আবার লাগানোর ঘোষণা বিএনপির।
Published : ১৪:০৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক ও আশপাশের এলাকায় সমাবেশের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য-আবর্জনা অপসারণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে বিএনপি।
একই সঙ্গে সমাবেশের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ পুনরায় রোপণের ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম জোরদার করতে প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
আমিনুল হক বলেন, ‘আজ সারাদিন ধরে এক্সপ্রেসওয়ে ও আশপাশের এলাকায় জমে থাকা বর্জ্য অপসারণ করা হবে। যদি আজ কাজ শেষ না হয়, তাহলে আগামীকালও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সমাবেশের কারণে যেসব গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব স্থানে পুনরায় গাছ লাগানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপি জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং যেকোনো কর্মসূচির পর এলাকাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ববোধ থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় যাওয়ার পথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক নজর দেখতে রাস্তার দুপাশে ভিড় করেন লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থক। বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথজুড়ে ছিল নেতাকর্মীদের ঢল।
পরে পূর্বাচলে আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তার দীর্ঘ ১৭ বছর পর সপরিবার দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে এ জনসমাবেশকে বিএনপি নেতারা ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এর আগে বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এই অভূতপূর্ব জনসমাবেশের ফলে এক্সপ্রেসওয়ে ও বিমানবন্দর এলাকায় যে বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে, জনস্বার্থ বিবেচনায় তা দ্রুত অপসারণ করা হবে। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাঠে নেমেছেন।
বিডি/এএন






























