আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

Published : ২২:৩৩, ১১ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। ভালো দামের আশায় উঁচু সমাতল জমিতে ৫৫-৬০ দিনে উৎপাদনযোগ্য সেভেন জাতের আলু, পাশাপাশি গ্র্যানুল্যা, সাকিতা, কারেজ ও জামপ্লাস জাতের আলু রোপণ করা হচ্ছে।
মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম জাতের আলু উৎপাদন হলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে আশা করছে কৃষকগণ।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, স্বল্পমেয়াদী আউশ ও আগাম জাতের আমন ধান কেটে মাড়াই শেষে জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরপর হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, হালচাষ, আগাছা পরিষ্কার, সেচের জন্য ক্যানেল তৈরি এবং জৈব সার প্রয়োগ করে আলু রোপণ করছে কৃষক।
আলু চাষি আব্দুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নতুন আলুর দাম কেজিতে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উৎপাদন খরচ এক কেজি আলুর জন্য ৩৫-৪০ টাকা হলেও বিক্রয়মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকার বাজার থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীগণ আগাম বায়না দিয়ে আলু ক্রয় করেন এবং মাঠ থেকে আলু সংগ্রহ করেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪১ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ স¤পন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের আলু চাষে উৎসাহ বাড়ছে। নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনজুর রহমান বলেন, কিশোরগঞ্জ এখনো আলুর ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। গত বছর ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল।
চলতি মৌসুমে আগামজাত আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকগণ বলেন, আগাম জাতের আলু চাষে বাজারের চাহিদা ও দাম ঠিক থাকলে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা কম। নারী-পুরুষ শ্রমিক মিলে মাঠে আলু রোপণের কাজ করছে, এতে শ্রমিকের চাহিদা ও মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডি/এএন