তোহা আদনান-সাবিকুন্নাহারের বিচ্ছেদের পথে?

Published : ১৯:৫৩, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান-এর ব্যক্তিগত জীবন নতুনভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। তাঁর স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহ ফের প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বিস্ফোরক পোস্টে সারাহ স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার অভিযোগ তুলেছেন।
সাবিকুন নাহারের একের পর এক অভিযোগের পর এবার তোহা নিজেই বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফলে নতুন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে—তোহা ও সারাহর সংসার কি সত্যিই ভেঙে যাচ্ছে?
এর আগে, গত ২ অক্টোবর সারাহ একই ধরনের পোস্ট দিয়েছিলেন, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। তখন তোহা মোবাইল হারানোর কথা বলে অভিযোগ অস্বীকার করলে সারাহ পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ক্ষমাও চেয়ে নেন। পরে তোহা একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ওয়াল্লাহি আমি তোমাকে ক্ষমা করেছি। যদি তুমি ইমাম হাসানের কাত্তেলের মতোও হও, আমি তবুও ক্ষমা করতাম। কারণ আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি।
এক সময় তাদের দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিক মনে হলেও, ১১ সেপ্টেম্বর সারাহ ফের নতুন করে অভিযোগ তোলেন। তিনি লিখেছেন, তোহা এখনও ওই নারীকে সম্পর্ক রেখেছেন এবং তাকেই বিয়ে করতে চান। মন্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমি কোনো মিথ্যা বলিনি। আগে নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়েছিলাম তোহার সংশোধনের আশায়, কিন্তু ভক্তরা আমাকে অপমান করছে।”
সাবিকুন নাহারের অভিযোগের দুই দিন পর, সোমবার (১৩ অক্টোবর) তোহা আদনান ফেসবুকে ‘উপসংহার’ শিরোনামে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “ভুল সত্তায় অন্ধ ভালোবাসার প্রতিদানই সম্ভবত আমার প্রাপ্য ছিল। আমি পেয়েছি, মেনেও নিয়েছি। তবে আল্লাহর কসম—আর না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “হে আমার জাতি, শুধু এতটুকু বলতে চাই—আরশের মালিকের কসম, আমাকে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। কাবার রবের শপথ, আমি জিনাকার নই। মোহাম্মদের রবের কসম, আমি ব্যভিচারী নই। যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম, আমি কোনো পরনারীর সঙ্গে হারাম সম্পর্কে জড়িত নই।”
তোহা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখন দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরামদের উপস্থিতিতে শরীয়াসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথে রয়েছে।
তার এই পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। একদিকে অনেকেই তোহার প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন ইসলামী আলোচকদের ব্যক্তিজীবনে এমন বিতর্কের প্রভাব নিয়ে। সব মিলিয়ে, আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ও সাবিকুন নাহারের দাম্পত্য জীবন এখন এক অনিশ্চিত পথের মোড়ে দাঁড়িয়ে।
বিডি/এএন