নীলফামারীতে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক বস্তায় আদা চাষ

Published : ২১:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫
নীলফামারীতে পতিত জমিতে বস্তায় আদা চাষ করে বাড়তি আয় করছে কৃষক। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় নীলফামারীর ৬ উপজেলার কৃষকগণ বস্তায় আদা চাষ করছেন।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, অল্প জায়গায় স্বল্প খরচে বেশি আয় সম্ভব হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষের প্রবণতা বাড়ছে।
ঔষধি গুণসম্পন্ন ও মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে আদার দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেকেই বাড়ির ছাদ, উঠান, পুকুরের পাড়, রাস্তার ধারে কিংবা জমিতে বস্তায় আদা চাষ করছেন।
এ বছর জেলায় ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ২৪০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদর উপজেলায় ৯২ হাজার, ডোমারে ৬২ হাজার, ডিমলায় ৬০ হাজার, কিশোরগঞ্জে ৫৪ হাজার, জলঢাকায় ৬৮ হাজার ও সৈয়দপুরে ৩২ হাজার বস্তায় চাষ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক কবির হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে দেড় বিঘা পতিত জমিতে ৪০০ বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতি বস্তায় ৬০—৬৫ টাকা খরচের বিপরীতে প্রায় ৮০০ কেজি (২০ মণ) আদা উৎপাদন হবে। বাজারে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারলে খরচ বাদে প্রায় এক লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা লাভ হবে।
একই উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, বাড়ির পাশে উঁচু জমিতে ৩০০ বস্তায় আদা চাষ করেছি। কৃষি অফিসের সহায়তায় নিয়মিত পরিচর্যা করছি। দু’মাসের মধ্যেই ফসল তুলতে পারব। আশা করা হচ্ছে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাভ হতে পারে।
ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া বলেন, গত বছর তিন হাজার বস্তায় আদা চাষ করে খরচ বাদে আড়াই লক্ষ টাকা লাভ হয়েছিল। এবার সাড়ে তিন হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছি। লাভের টাকায় পরিবারের সব চাহিদা মেটাতে পারব।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বলেন, বন্যা, খরা ও কন্দপচা রোগের কারণে মাটিতে আদা চাষে কৃষকরা লোকসান গুনছিলেন। এখন বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকি কম ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা নতুন করে আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। এবার সদর উপজেলায় ৯২ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মনজুর রহমান বলেন, মাটিতে রোপিত আদার তুলনায় বস্তায় আদা চাষ অনেক বেশি লাভজনক। এ কারণে কৃষকরা ক্রমেই এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।
বিডি/এএন