তরুণদের আন্দোলনে ক্ষমতা হারালেন আরেক দেশের প্রেসিডেন্ট

Published : ২১:৩৭, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
জেনারেশন জেড তরুণদের নেতৃত্বে তীব্র সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে অবশেষে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা।
ফরাসি রেডিও আরএফআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে এক গোপন চুক্তির পর ফরাসি সামরিক বিমানে করে তাকে দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা নিশ্চিত করেছেন, গত রবিবার রাজোয়েলিনা মাদাগাস্কার ত্যাগ করেছেন। জানা গেছে, সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট বিদ্রোহ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেন এবং দেশ ছাড়েন।
বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি রান্দ্রিয়ানাসোলোনিয়াইকো বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে নিশ্চিত হয়েছি, তিনি দেশ ছেড়েছেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছিল, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাজোয়েলিনা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেই ভাষণ আর প্রচারিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে পানি ও বিদ্যুতের সংকট ঘিরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুতই তা রূপ নেয় দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সার্বজনীন আন্দোলনে।
রাজোয়েলিনা রোববার অভিযোগ করেন, ‘দেশে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র চলছে।’ তবে একই দিনে সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিট ক্যাপস্যাট বিদ্রোহ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে সেনা প্রশাসনের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই ইউনিটটিই ২০০৯ সালের অভ্যুত্থানে রাজোয়েলিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন আধাসামরিক বাহিনী জেন্ডারমেরির একটি অংশও বিক্ষোভকারীদের পক্ষ নেয়। রয়টার্স-এর প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রণ নেয়।
অন্যদিকে সেনেট ঘোষণা করেছে, ব্যাপক জনঅসন্তোষের কারণে সেনেটের সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে এবং জ্যাঁ আন্দ্রে ন্দ্রেমাঞ্জারিকে অস্থায়ী সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুসারে, নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনিই অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিডি/এএন