ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম বৃহস্পতিবার রায়েরবাজারে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সমাধি জিয়ারত করেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচল সেবা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যে কোনো সময় আমাদের প্রশ্ন করতে পারবে। আমাদের কাজ হচ্ছে কাজ করা।”
এই জিয়ারতের সময় ভিপি সাদিক কায়েম ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত সেবা প্রদানের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সম্মান জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেন।
সাদিক কায়েম ক্যাম্পাস পরিবর্তনের আশা ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের হাতে সময় আছে, আমরা তা অনুযায়ী জুলাই শহীদদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ক্যাম্পাসকে সাজাতে চাই। আমাদের লক্ষ্য স্বপ্নের ক্যাম্পাস নির্মাণ।” তিনি শহীদদের আত্মত্যাগকে “আমাদের প্রেরণার বাতিঘর” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি সারাদেশে বৈষম্যহীনতার লক্ষ্যে ছাত্র সংসদের কার্যক্রমকে পরিচালিত করবে।
ভিপি সাদিক আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করবে, আমরা কাজ করব। এতে শিক্ষার্থী ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে দায়িত্ববোধের সুস্পষ্ট কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হবে।” বিজয়ী প্যানেলের লক্ষ্য হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশের নিখুঁত উদাহরণ’ প্রদর্শন করা।
জিএস ফরহাদ জানান, আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পরই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যক্রম শুরু হবে। পাশাপাশি প্যানেলটি শহীদ পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। “জুলাই শহীদদের পরিবারই আমাদের পরিবার; আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখব,” বলেন সাদিক।
রায়েরবাজারের শতাধিক অচিহ্নিত কবর জুলাই শহীদদের ধারণ করছে, যা বিপ্লবের মানবিক ক্ষতির প্রকট চিত্র ফুটিয়ে তোলে। নবনির্বাচিত নেতৃত্ব শহীদদের স্মৃতিস্মারণ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি “সুন্দর ক্যাম্পাস” নির্মাণের অঙ্গীকারও করেছেন।
এ সময় সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান ঊর্ধ্বতন প্যানেল সদস্যদের সঙ্গে আবেগঘন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যা শিক্ষার্থী প্রশাসন ও বিপ্লবী ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রতি জোটবদ্ধ নেতৃত্বের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।