ভুল বোঝাবুঝি মিটে, ফের শুরু হলো ২ হলের ভোটগ্রহণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত হওয়া শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও ফজিলাতুন্নেছা হলের ভোটগ্রহণ ফের চালু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি জানান, “শঙ্কা তো আছেই। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বর্তমানে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিকভাবে চলছে।”

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা দুই হলে ভোট বন্ধ করে দেন। সে সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রোভস্টের কথা কাটাকাটি হয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যালট পেপারে একজন প্রার্থীর স্থলে অন্যজনের ছবি বসানো হয়েছে, যা সহজেই কারচুপির সুযোগ তৈরি করছে। এছাড়া ভোটারদের হাতে ভোট দেওয়ার পর অমোচনীয় কালিও ব্যবহার করা হয়নি। এসব কারণেই তারা ভোট বন্ধ রাখেন।

উল্লেখ্য, এবারের জাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ২২৪টি বুথ।

ছাত্রদের হলে ভোটার সংখ্যা: আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।

ছাত্রীদের হলে ভোটার সংখ্যা: নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।