‘হেক্সা চাকু’ হাতে শিক্ষার্থীরা, পুলিশের কয়েকজন আহত

‘হেক্সা চাকু’ হাতে শিক্ষার্থীরা, পুলিশের কয়েকজন আহত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:১৭, ২৭ আগস্ট ২০২৫

রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুযেট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের কাছে ‘হেক্সা টাইপের চাকু’ থাকার কারণে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রমনা ডিসি মাসুদ আলম জানান, শাহবাগে আন্দোলনকারীরা যেহেতু ব্লক করে রেখেছিল, তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছিল। পুলিশ তাদের কখনও সরাসরি নির্দেশ দেয়নি চলে যেতে। তিনি বলেন, “মানুষের অসুবিধার পরও আমাদের পক্ষে সরাসরি বলার সুযোগ ছিল না। মন্ত্রণালয়ও তাদের দাবি পজিটিভভাবে বিবেচনা করছিল। ইতিমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে যা তারা চাচ্ছিল। নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ চলছিল। তারা জানিয়েছিল, ‘অর্ধ ঘণ্টা এখানে থাকব, প্রজ্ঞাপন না হলে সচিবালয় যাব।’ আমরা তাদের বলা হয়েছিলো, অর্ধ ঘণ্টার জন্য থাকুন।"

রমনা ডিসি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, হঠাৎ শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের দিকে দৌঁড়ে চলে আসে। পুলিশও তাদের পিছনে পিছনে চলে যায়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টা বাসভবনের দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আস্তে ঠেলতে চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন জলকামান ব্যবহার করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা প্রচুর ইট নিক্ষেপ করে। তাদের হাতে ‘হেক্সা ধরনের চাকু’ থাকার কারণে পুলিশের কয়েকজন আহত হন।

ডিসি মাসুদ আলম আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে আমি নিজে ছিলাম। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামত আচরণ করছিল, তবে অনেকেই সমাধান করতে এগিয়ে এসেছিল। তাদের মধ্য থেকেও কিছু আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা স্পষ্ট নয়; কেউ হাসপাতালে গেছে, কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।”

নিরাপত্তার বিষয়েও তিনি বলেন, “যদি আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে চলে যায়, পুলিশের পক্ষে কিছু করার থাকে না। তখন রাষ্ট্র বা সরকারই নির্দেশ দেবে। নিরাপত্তা দিতে না পারলে আমাদের চাকরি-বাকরি করার প্রয়োজন নেই।”

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement