প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নিয়ে মহাসমাবেশ করেছেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহীদ মিনারে আয়োজিত এই সমাবেশে তাদের দাবি তুলে ধরা হয়। সমাবেশের আয়োজন করেছে ছয়টি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চা ‘সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’।

শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন ও ভাতা নিশ্চিত করা, শতভাগ শিক্ষককে পদোন্নতি প্রদান, এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন করা।

ঐক্য পরিষদের নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “যদি আজ স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না পাওয়া যায়, তবে সমাবেশ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

দাবি আদায়ে প্রাথমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। চলতি বছরের মে মাসে তারা এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেন, যা পরবর্তীতে দুই ঘণ্টা ও অর্ধদিবসের কর্মবিরতিতে পরিণত হয়। ২৬ মে থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসের পর ১ জুন থেকে তারা ক্লাসে ফিরে গেলেও তিন মাস পেরিয়ে গেলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও তারা রাজপথে নেমেছেন।

এছাড়া, ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’ নামে আরেকটি সংগঠনও বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে টানা অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান।