নবজাতকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মূলহোতা আটক

নবজাতকের প্রাণ কেড়ে নেওয়া অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মূলহোতা আটক

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:২৮, ১৬ আগস্ট ২০২৫

শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বাধার কারণে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার পর প্রধান আসামি সবুজ দেওয়ানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৮)। শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী গ্রামের সেলিম শেখের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট দুপুরে নূর হোসেন সরদার তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শরীয়তপুরের নিউ মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিকে ভর্তি করান। বিকেলে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পর নবজাতক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা প্রথমে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

এসময় পরিবারের সদস্যরা ঢাকাগামী একটি ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সে নবজাতককে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেয়। সবুজ দেওয়ানের নেতৃত্বে কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের চাবি কেড়ে নেয় এবং স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার জন্য জোরাজুরি করে। প্রায় ৪০ মিনিট অবরুদ্ধ থাকার পর নবজাতক অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই মৃত্যুবরণ করে।

এ ঘটনায় ১৬ আগস্ট পালং মডেল থানায় নূর হোসেন সরদার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র‍্যাব-৮ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সবুজ দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে।

র‍্যাব-৮ এর কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাটি জানার পরপরই অভিযানে নামা হয়। ঘটনার মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা চলছে।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন। তারা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনাই প্রমাণ করে অসুস্থ রোগীদের জীবন নিয়ে এ চক্র অবাধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement