ছাত্রীসহ বাগানে ধরা পড়লেন ধর্ম শিক্ষক

ছাত্রীসহ বাগানে ধরা পড়লেন ধর্ম শিক্ষক ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২২:৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় নিজ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার অভিযোগ উঠেছে ধর্ম শিক্ষক রোকনুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের দাবি, সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার একটি নির্জন বাগানে শিক্ষক রোকনুদ্দিন ও তারই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। পরে ঘটনাস্থলের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধর্ম শিক্ষক রোকনুদ্দিন খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনাটি জানাজানির পর স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি শিক্ষক ও ছাত্রীকে আটক করেন এবং পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক রোকনুদ্দিন খানের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান দাবি করেন, ঘটনাটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সোমবার শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ওই ছাত্রী টিফিনের সময় বাড়ি যাচ্ছিল। আমিও তখন শহরে একটি কাজে যাচ্ছিলাম। স্কুল থেকে আমরা একসঙ্গে বের হই। পথে বেতগাড়ি এলাকায় ছাত্রীটি হঠাৎ বমি করে ফেললে অটোরিকশাচালক তাকে নামিয়ে দেয়। পরে আমি তাকে নিয়ে কাছের চক্ষু হাসপাতালে যাই এবং চকলেট কিনে দিই। কিছুক্ষণ পর সে সুস্থ হয়ে ওঠে। ঠিক তখনই স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটক করেন এবং ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতে বিষয়টি প্রচার করেন।”

তবে কেন অসুস্থ ছাত্রীকে নিকটস্থ চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হলো—এই প্রশ্নের কোনও নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, “ঘটনাটি আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। ধর্ম শিক্ষক রোকনুদ্দিন খান আমাকে কিছু না জানিয়েই ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেছেন। এমনকি ঘটনাটি ঘটার পরও তিনি আমাকে অবহিত করেননি।”

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, তবে তার বদলির কারণে পদটি বর্তমানে শূন্য। “আমি এ ঘটনায় শিক্ষক রোকনুদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি,” যোগ করেন তিনি।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাইফুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে কিছু জানায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement