‘নোট অব ডিসেন্ট’ পরিষ্কার করতে হবে: আখতার

Published : ২৩:২৯, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
তার মতে, সনদের খসড়ায় ভিন্নমতের স্পষ্ট সংজ্ঞা ও বাস্তবায়নের কার্যকর রূপরেখা না থাকলে এটি বাস্তবে অর্থবহ হবে না।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের খসড়ায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’—অর্থাৎ ভিন্নমতের দিকগুলো যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা ও প্রক্রিয়া থাকা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে অঙ্গীকারনামা পেয়েছি, তাতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি যথেষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। এনসিপি মনে করে, এ প্রক্রিয়াকে ‘জুলাই বাস্তবায়ন আদেশ’ বা ‘সাংবিধানিক সংস্কার আদেশ’ নামে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা উচিত।
আখতার হোসেনের মতে, জনগণের ইচ্ছা ও অংশগ্রহণের প্রতিফলন ঘটাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রধান হিসেবে এই আদেশ জারি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি গণভোটের বিষয়েও অস্পষ্টতা উল্লেখ করেন। বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো গণভোটে একমত হলেও এর পদ্ধতি, সময়সীমা ও কাঠামো এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এনসিপি সদস্য সচিব আরও বলেন, সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলো কেবল সংশোধনের মাধ্যমে নয়, বরং একটি টেকসই সাংবিধানিক সংস্কারের মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একমত যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে সাংবিধানিক ক্ষমতা ডেলিগেট করতে হবে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে শুধুমাত্র ‘সংশোধন’ নয়, বরং ‘সংস্কার’-এর কথা বলা হয়েছিল।
শেষে আখতার হোসেন বলেন, “আমরা চাই জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথরেখা পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করা হোক। সব প্রশ্নের জবাব জাতির সামনে উপস্থাপন করার পরই আমরা সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত হবো। তাহলেই এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করবে।”
বিডি/এএন