ইনু ট্রাইব্যুনালে: ‘আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না’

Published : ০০:৪৪, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল‑১‑এর কাঠগড়ায় হাজির হয়ে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত অন্যান্য আসামিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না, আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল‑২-এ নিয়ে গেছে।”
এই মন্তব্যের পর সেখানে উপস্থিত সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার মনোবল বাড়িয়ে বলেন, “চিন্তা করবেন না ভাই। আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।” সেই সময় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মন্তব্য করেন, “এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে হত্যা ও গণহত্যার দায়ে ৭টি পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আসামিদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আনা হয়।
এক পর্যায়ে প্রত্যেক আসামিকে আলাদা এজলাস কক্ষে যাচাই-বাছাই করা হয়। নতুন শুনানির তারিখ ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয় এবং প্রসিকিউশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রায় দুই মাস সময় দেওয়া হয়। এদিন ইনুসহ একাধিক আসামি ট্রাইব্যুনাল‑২-এ স্থানান্তরিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। দুপুরের দিকে তাদের আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয় পুলিশ।
এর আগে ২০ জুলাই চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার তদন্তের জন্য আরও তিন মাস সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন। তবে প্রসিকিউশন প্রতিবেদন জমা না দিয়ে আরও সময় চায়, যা ট্রাইব্যুনাল ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন দেয়।
বিডি/এএন