সুরক্ষার মানে দেশের সেরা ওসমানী বিমানবন্দর

Published : ০০:০৮, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগ (ডিএফটি) পরিচালিত সাম্প্রতিক বিমানবন্দর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সামগ্রিকভাবে শীর্ষে অবস্থান করেছে।
সমগ্র মূল্যায়নে ওসমানী বিমানবন্দর ৯৪ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে, যা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৯৩ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ কাউছার মাহমুদ এই তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএফটি আগস্ট মাসে দেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। এর মধ্যে, শাহজালাল বিমানবন্দর সামগ্রিকভাবে ৯৩ শতাংশ এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (কার্গো) মূল্যায়নে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। একইভাবে ওসমানী বিমানবন্দর সামগ্রিকভাবে ৯৪ শতাংশ এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা (কার্গো) মূল্যায়নে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
ডিএফটি মূল্যায়ন দল বেবিচকের প্রস্তুতি ও কার্যক্রমে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ডিএফটির বিমানবন্দর মূল্যায়ন হলো যুক্তরাজ্য সরকারের একটি আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা যাচাই ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিদেশি বিমানবন্দরগুলোর যাত্রী ও কার্গো নিরাপত্তার মানদণ্ড পর্যালোচনা করা হয়। অনুমোদিত পরিদর্শক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সরেজমিনে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নীতিমালা পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ব্যবস্থাগুলো যাচাই করেন।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমানবন্দর মূল্যায়ন কার্যক্রম ২০১৭ সাল থেকে অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো যাচাইয়ের জন্য ডিএফটি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। বেবিচক জানায়, ডিএফটি থেকে প্রাপ্ত এই ভালো মূল্যায়ন জাতীয় স্বার্থে গভীর তাৎপর্য বহন করে। এটি বাংলাদেশের বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা ও দৃঢ়তার প্রতিফলন, যা জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উন্নয়নে সহায়ক।
বেবিচক আরও জানায়, ২০১৬ সালে কার্গো স্ক্রিনিং নিয়ে উদ্বেগের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ঢাকাগামী কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ফলে সমস্ত রপ্তানি কার্গোকে তৃতীয় দেশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে হতো, যা রপ্তানিকারকদের জন্য বিলম্ব ও অতিরিক্ত খরচ সৃষ্টি করেছিল। পরবর্তীতে বেবিচক ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য স্থাপন করে। ২০১৭ সাল থেকে ইডিএসের মতো আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং ইডিডি ইউনিটকে রপ্তানি কার্গো স্ক্রিনিং ব্যবস্থায় যুক্ত করা হয়েছে।
বেবিচক জানায়, তারা ধারাবাহিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ এবং প্রক্রিয়াগুলোর উন্নয়ন করেছে, যাতে বাংলাদেশের বিমান নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছায়। এই ভালো মূল্যায়ন ভবিষ্যতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকি কমাবে, অন্য দেশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্ক্রিনিং-এর প্রয়োজন হ্রাস করবে এবং বাণিজ্য, বিদেশি এয়ারলাইন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে, যা সরাসরি জাতীয় অর্থনীতি ও উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিডি/এএন