রংপুরে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
 
						
Published : ১৯:৪৯, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
রংপুরে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে সোহেল মিয়া (২৭) নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে দুই দিন আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহ¯পতিবার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। গত বুধবার রাতে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারের পরপরই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোহেল মিয়ার দুই শিশু (এক জনের বয়স এক বছর আরেক জনের বয়স তিন বছর) সন্তান রয়েছে। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের পূর্ব বড়বালা (ভোলার পাতার) গ্রামের আজাদুল হক ওরফে ক্যাতা মিয়ার ছোট ছেলে।
সোহেল মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত গত ২৭ অক্টোবর সোমবার বিকালে বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মনারুল ইসলাম বাড়ি থেকে সোহেল মিয়াকে ডেকে স্থানীয় বালুয়া বাজারে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে মিলনপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে যায়।
আশরাফুল মেম্বার তার ভাতিজি জামাতার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহেল মিয়াকে নিজের বাড়িতে দুই দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে সোহেলের বাবা-মাকে ডেকে আনা হয়।
তখন সাদা স্ট্যাপকে জোরপূর্বক মুচলেকা নিয়ে সোহেলকে হস্তান্তর করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। নিহতের বাবা আজাদুল হক (ক্যাতা মিয়া) বলেন, আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে এমনভাবে পিটিয়েছে যাতে মৃত্যু হয়।
যারা এটা করেছে, তারা সবাই প্রভাবশালী। একদিকে আশরাফুল মেম্বার ছেলেকে নির্যাতন করেছে, অন্যদিকে গ্রামপুলিশ আর হাবিবুর নামে এক যুবক ছেলেকে ছাড়ানোর নামে টাকা দাবি করেছিল। আমার ছেলে যদি অপরাধী হতো, তা হলে পুলিশে দিত।
আমি সন্তান হত্যার বিচার চাই। সোহেল মিয়াকে আটক রেখে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত আশরাফুল মেম্বার বলেন, আমার জামাইয়ের মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সোহেলকে ধরে আনতে বলেছি, এটা সত্য।
তবে সোহেল কিভাবে মারা গেল জানি না। আমরা তো শুধু হালকা শাসন করেছি। তার পরিবারের জিম্মানামাও আমাদের কাছে আছে। মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিডি/এএন

 
				
 
											 
											 
											 
											


























