বছরে তিস্তা নদীতে এসেছে দুই কোটির বেশি টন পলি

বছরে তিস্তা নদীতে এসেছে দুই কোটির বেশি টন পলি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২০:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর ব্যুরো: ছয় ঋতুর বাংলাদেশের ঋতু চক্রাকারে নভেম্বর মাসেই শুরু হয় শুষ্ক মৌসুম। এর আগেই পানি হারাতে বসেছে দেশের অন্যতম প্রধান নদী তিস্তা।

উজান থেকে বছরে দুই কোটির বেশি টন পলি প্রবেশের কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে পড়েছে, ফলে ধীরে ধীরে হারাচ্ছে নদীর প্রাণ। রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটারজুড়ে নদীতে জেগে উঠেছে শত শত চর।

শুকনো মৌসুমে তিস্তার প্রস্থ কমে নেমে আসে ২০ থেকে ৫০ ফুটে। আর বর্ষাকালে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পানি কমে যাওয়ায় দেশের বৃহত্তম তিস্তা সেচ প্রকল্প পড়েছে বিপর্যয়ের মুখে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ আরও কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকায় পানির সংকট দেখা দিতে পারে।

স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, নদীতে পানি না থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে, ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা এখন প্রায় বেকার হয়ে পড়েছে। গঙ্গাচড়ার ৮৫০ মিটার দীর্ঘ তিস্তা সেতু সংলগ্ন তিস্তা নদীর চারভাগের তিনভাগই শুকিয়ে গেছে, সামান্য অংশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ক্ষীণধারার পানি।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, শুকনো মৌসুমে পানি প্রবাহ কমে যায়, ফলে বিভিন্ন এলাকায় চর জেগে উঠছে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে নদী খনন ও ড্রেজিং কার্যক্রমের প্রয়োজন। তিস্তাপাড়ের মানুষের একটাই প্রত্যাশা তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত হলে ফিরে পাবে প্রাণচঞ্চল সেই তিস্তা নদী।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement