আইএমএফের শর্তে এবার যত কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ

আইএমএফের শর্তে এবার যত কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে বাংলাদেশ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:৩৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণের সীমা নির্ধারণ করেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণও নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

আইএমএফ গত জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে ১৩৪ কোটি ডলার ছাড়ার পর ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট’ প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে পরবর্তী কিস্তি পেতে যা মানতে হবে, তার মধ্যে নতুন ঋণসীমা অন্যতম শর্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সর্বোচ্চ ১৯১ কোটি ডলার, ছয় মাস শেষে ৩৩৪ কোটি ডলার, নয় মাসে ৪৩৪ কোটি ডলার এবং পুরো অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৮৪৪ কোটি ডলার পর্যন্ত বিদেশি ঋণ নেওয়া যাবে। এছাড়া, প্রতি তিন মাস অন্তর বিদেশি ঋণের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে আইএমএফ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৮৫৭ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ গ্রহণ করেছিল। চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই ২০ কোটি ২৪ লাখ ডলার ঋণ নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এবার ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কিছুটা কম থাকবে।

এর আগে, ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ আইএমএফ অনুমোদন করলেও তখন কোনো সীমাবদ্ধতা বা শর্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু গত জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ার সময় ঋণের পরিমাণ আরও ৮০ কোটি ডলার বৃদ্ধি করা হয় এবং মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর থেকে নতুন শর্তটি কার্যকর হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এই কর্মসূচি থেকে মোট ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আইএমএফের সর্বশেষ ঋণ স্থায়িত্ব বিশ্লেষণ (ডিএসএ) অনুসারে এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে টানা দুই অর্থবছর ধরে ‘মধ্যম ঝুঁকি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। পূর্বে দেশটি ‘কম ঝুঁকি’ হিসেবে বিবেচিত হতো, কিন্তু রপ্তানি ও রাজস্ব আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement