৩৬৩ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি, আসামির তালিকায় এস আলম ও নাবিল গ্রুপের মালিকসহ ৪৩ জন

Published : ১৯:৩৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নামমাত্র কাগুজে প্রতিষ্ঠান **‘নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’-এর অনুকূলে ৬৭০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থার মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিদের প্রথম সারিতে রয়েছেন- এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. হাছানুজ্জামান, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন অর রশিদ এবং চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
তাদের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নামও এজাহারে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, এভিপি ও গুলশান শাখার ইনভেস্টমেন্ট ইনচার্জ আকির হোসেন মিজি, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক এটিএম শহিদুল হক, এবং সিন্ডিকেট ফাইন্যান্স বিভাগ, ধোলাইখাল শাখা ও এক্সিকিউটিভ কমিটির আরও একাধিক কর্মকর্তা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এবং পরিচালনা পর্ষদের একাধিক প্রভাবশালী সদস্যও এই মামলার আসামি।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল কাগজপত্র তৈরি করে একটি নবগঠিত নামমাত্র প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ অনুমোদন করান। ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে মোট ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়। এর মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বাস্তবে বিতরণ না করেও কাগজপত্রে দেখানো হয় এবং সেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর একাধিক ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর আওতায় মামলা রুজু হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অর্ধ-ডজনের বেশি মামলা করেছে দুদক। একইভাবে নাবিল গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির একাধিক মামলার তদন্ত চলছে।
BD/AN