সুশীলা কার্কি হলেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী

Published : ০১:৪৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৯টায় তিনি শপথ গ্রহণ করবেন।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরই তার নামের ওপর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্র বলছে, তার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। ছোট পরিসরের এই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শপথের পরপরই। বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবও উঠতে পারে। এ শপথের মাধ্যমে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সুশীলা কার্কি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে তরুণ প্রজন্ম রাস্তায় নামে। গত সোমবার পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর থেকেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।
চাপের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং আত্মগোপনে চলে যান। ওইদিনই বিক্ষুব্ধরা সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়, এমনকি অর্থমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় মারধরের ঘটনাও ঘটে।
অলির পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাই নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়। একদল সুশীলা কার্কির নাম সমর্থন করলেও আরেক অংশ বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখা প্রকৌশলী কুলমান গিসিংকে প্রধানমন্ত্রিত্বে দেখতে চেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কার্কির নামেই সবার ঐক্যমত হয়।
উল্লেখ্য, সুশীলা কার্কি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তার দৃঢ়তা ও ন্যায়পরায়ণতা তাকে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। তিনি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
সূত্র: এনডিটিভি
BD/AN