বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন দিচ্ছে মালয়েশিয়া

বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন দিচ্ছে মালয়েশিয়া ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৭:১৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

মালয়েশিয়া সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে চলমান শ্রম ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।

এ জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে বিদেশি কর্মী কোটার আবেদন অনুমোদনের একটি বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক সরকারি বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এই ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে তিনি জানান, সরকার দেশের তিনটি প্রধান খাত এবং দশটি উপখাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটার আবেদন গ্রহণ ও অনুমোদনের বিশেষ সুবিধা দিতে সম্মতি জানিয়েছে। প্রধান তিনটি খাত হলো — বৃক্ষরোপণ, কৃষি, এবং খনি ও খনন শিল্প।

এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার আওতায় আসা দশটি উপখাত হলো: নিরাপত্তা পরিষেবা, ধাতু ও স্ক্র্যাপ সামগ্রী পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, লন্ড্রি সেবা, রেস্তোরাঁ, স্থলভিত্তিক গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ কাজ এবং মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (MIDA) কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প।

সাইফুদ্দিন নাসুশন বলেন, “এই বিশেষ অনুমোদন সুবিধা চালুর মাধ্যমে সরকার কেবল গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর শ্রম চাহিদা পূরণ করছে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় মাদানি সরকারের প্রতিশ্রুতিও প্রতিফলিত হচ্ছে।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়ার অধীনে বিদেশি কর্মী প্রয়োজন এমন নিয়োগকর্তারা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ওয়ান স্টপ সেন্টার (OSC) ফর ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্ট-এ কোটা আবেদন জমা দিতে পারবেন।

প্রতিটি আবেদন উপদ্বীপ মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (JTKSM) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার মূল্যায়নের পরই অনুমোদনের জন্য বিবেচিত হবে।

আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় সব সহায়ক নথিপত্র জমা দিতে হবে, এবং প্রতিটি আবেদন মূল্যায়ন করা হবে তার যোগ্যতা, খাতভিত্তিক বাস্তব জনবল প্রয়োজনীয়তা, এবং অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার বিবেচনায়।

সরকার বলেছে, এই নমনীয় ও বাস্তব চাহিদাভিত্তিক প্রক্রিয়া বিভিন্ন শিল্পকে উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

এছাড়া, এই পদক্ষেপ সরকারের জন্য আগামী বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগ নীতি ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন ও শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এটি মালয়েশিয়ার জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট শ্রমশক্তির ১০ শতাংশে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা সীমিত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement