দেশে বর্তমানে সারের কোনো ঘাটতি নেই এবং দামও সম্পূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, সারের দাম বাড়বে না, ফলে কৃষকরা নিশ্চিন্তে আছেন এবং স্বস্তিতে কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে পারছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
কৃষি উপদেষ্টা জানান, এবার আমন মৌসুমে উৎপাদন সন্তোষজনক হয়েছে, এবং কৃষকও তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হওয়ায় বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
তিনি আরও জানান, সরকার আগামী ২৫ বছর মেয়াদি একটি দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যশস্য পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি কৃষি জমি ক্রমশ কমে যাওয়ায় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ বিবেচনায় নিয়ে সরকার কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নেরও কাজ করছে। এই আইনের লক্ষ্য হলো— কৃষিজমি যেন কোনোভাবেই অযথা দখল বা রূপান্তরিত না হয়।
এছাড়া তিনি জানান, সারের ডিলারশিপ নীতিমালা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা নীতিমালা প্রণয়নে সুপারিশ দেবে। কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে, এবং শুধুমাত্র যোগ্য ও নিয়ম মেনে আবেদনকারীরাই ডিলারশিপের লাইসেন্স পাবেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্পষ্ট করে বলেন, কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা বিবেচনায় সারের ডিলারশিপ দেওয়া হবে না। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে— সঠিক ব্যক্তি যেন কৃষকদের কাছে মানসম্মত সার পৌঁছে দিতে পারেন এবং কৃষি উৎপাদন অব্যাহত থাকে।vv

































