বিকেলে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

বিকেলে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:৫৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের জেলা আদালতসমূহে কর্মরত উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তাঁর বিদায়ী অভিভাষণ প্রদান করবেন।

আগামী রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এই অভিভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। একই মাসের ২৭ ডিসেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরে যাচ্ছেন।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অধিবেশনে দেশের সব জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁর বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন।

২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে তিনি বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই বছরের ১১ আগস্ট তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। তিনি যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে আইন ও কূটনীতি বিষয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করেছেন।

তার কর্মজীবনের শুরু ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে। ১৯৮৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ এবং ভাষাসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদের সন্তান। তার পিতা ইশতিয়াক আহমেদ দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর তার মাতা ড. সুফিয়া আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নারী অধ্যাপক এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিত্ব।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement