রিজভীর অভিযোগ: গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা

রিজভীর অভিযোগ: গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:১৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রচারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হচ্ছে। আজকের বাস্তবতায় বলা হচ্ছে, অমুক খারাপ-আমরাই ভালো। কিন্তু যখন অনুসন্ধান করা হয়, দেখা যায় বালুমহলের সঙ্গে বিএনপির লোক জড়িত থাকলেও সেখানে জামায়াতের লোকও আছে। সেটি মিডিয়ায় এলেও বড় আকারে প্রচার হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটের পাথর উত্তোলনে জামায়াত নেতার নাম পাওয়া যায়, নারীঘটিত বিভিন্ন ঘটনাতেও তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে কেবল বিএনপির নামই বেশি প্রচার করা হয়। অথচ আমরা যখন তাদের পদ স্থগিত করি বা বহিষ্কার করি, সেটা ফলাও করে প্রচার করা হয় না।’

তার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোকেও একটি পরিবারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। ‘যেমন প্রতিটি পরিবারে কিছু খারাপ লোক থাকতে পারে, তেমনই একটি দলে কিছু কুলাঙ্গার থাকতে পারে। তবে সেই দল যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন সেই পরিবারকেই ভদ্র বলা যায়। অথচ গণমাধ্যম সেই বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে না। বরং চতুরতার সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে একধরনের বয়ান তৈরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির সাম্প্রতিক এক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘একজন নবনির্বাচিত ভিপি দোকানিকে জরিমানা করেছেন। কিন্তু তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকান করছে, কে বাজার করছে—এটা দেখার দায়িত্ব তো প্রশাসনের। ছাত্রনেতা অভিযোগ জানাতে পারেন, কিন্তু নিজে গিয়ে জরিমানা করার এখতিয়ার তার নেই। সেই টাকা আবার জামায়াতের বায়তুল মালে যাচ্ছে।’

তিনি সমালোচনা করে আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে লোহার খাট দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা ডাকসুর দায়িত্ব নয়। ছাত্রদের সমস্যা থাকলে আন্দোলন করে প্রশাসন থেকে সমাধান আনা যেতে পারে। কিন্তু হলগুলোতে খাট-টেবিল দেওয়া আসলে রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল। এটি কি এতিমখানা নাকি?’

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এক দোকানে এমএসজি (টেস্টিং সল্ট) পাওয়ায় হল সংসদের সহসভাপতি আজিজুল হক দোকানিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টিকে অনিয়ম আখ্যা দিয়ে বলেন, ছাত্রনেতাদের জরিমানা করার এখতিয়ার নেই—এ ধরনের পদক্ষেপ হলে তা অবশ্যই প্রশাসনের মাধ্যমে হতে হবে।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement