লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন সম্ভব নয় - মোহাম্মদ কামাল হোসেন
Published : ১৩:৫৪, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, প্রশাসনে দলীয়করণ অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
এতে শুধু নির্বাচনের পরিবেশই নষ্ট হবে না বরং জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনাপাড়া থানার উদ্যোগে ভোট কেন্দ্র ও বুথ পরিচালকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে দলীয়করণ বন্ধ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। তবে তার আগে নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
গণভোটে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক পরিচালিত সকল গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর উত্থাপিত গণমানুষের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন ব্যতীত যেনতেন প্রহসনের নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না, মেনে নেবে না।
কামাল হোসেন বলেন, গণমানুষের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত ব্যতীত নির্বাচন হলে ভোট চোরেরা কেন্দ্র দখল দিবে, ব্যালট বাক্স লুট করবে, ভোটাদের কেন্দ্রে আসতে বাঁধা সৃষ্টি করবে, অস্ত্রের মহড়া দিবে।
তারা তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রশাসনে নিজেদের দলীয় লোকদের বসাতে নানারকম চক্রান্ত করছে। ইতোমধ্যে তারা কয়েকজন উপদেষ্টাকে প্রলোভন দিয়ে প্রশাসনকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
তিনি উপস্থিত ভোট কেন্দ্র ও বুথ পরিচালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখতে হবে জামায়াতে ইসলামীর শক্তি জনগণ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু শিক্ষার্থীদের মতোই ভোট দিয়ে কেন্দ্রে বসে থাকতে হবে।
নিজের ভোটের হিসাব নিজেকে বুঝে নিয়ে তবেই বাড়িতে ফিরতে হবে। নতুবা ভোট লুট হয়ে যেতে পারে। "ভোট কেন্দ্রে জনশক্তিদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন স্বতঃস্ফূর্ত ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে।
সাহসিকতার সাথে ময়দানে ভূমিকা রাখলেই এই জমিনে সত্যের বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে তাতে খুব স্পষ্টই বোঝা যায় যে বাংলার মানুষ দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।"
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও কোনাপাড়া থানা আমীর আকতারুজজামান চয়নের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুকের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার তারিকুল ইসলাম, মাওলানা মীর আল আমিন, খন্দকার সামদানী পলাশ, হারুন রশিদ এবং থানা শূরা সদস্য মাস্টার নাসির উদ্দিনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনের কদমতলীতে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ অভিযান পরিচালনা করেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালক আব্দুর রহিম জীবন, সদস্য সচিব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, কদমতলী দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত নেতৃবৃ্দ স্থানীয়দের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ করে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন।
আরএইচ/ ঢাকা
































