শাপলা ইস্যুতে এনসিপির ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’
Published : ১২:৪৮, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও টক শো উপস্থাপক জিল্লুর রহমান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়’ অবস্থানকে এক ধরনের “চাপ প্রয়োগের রাজনীতি” বলে অভিহিত করেছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক ভিডিওতে তিনি বলেন, এনসিপির প্রতীক-নির্ভর অবস্থান মূলত একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যা দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করছে। দলটি এখন বলছে—শাপলা পেলে নিবন্ধন, শাপলা পেলে নির্বাচন; অন্যথায় নয়। জিল্লুর রহমানের মতে, এ ধরনের ঘোষণা নতুন দলের জন্য জনমত গঠনের একটি কার্যকর কৌশল হলেও এটি একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণও।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এনসিপি একদিকে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে প্রতীক প্রশ্নে নিজেদের নীতিগত অবস্থান জোরালো করছে।
এই অবস্থান, তার মতে, ভবিষ্যৎ জোট রাজনীতির দরজাও খোলা রাখে—কারণ দলটি অন্য কোনো প্রতীকে বা জোটের প্রতীকে অংশ নিতে আগ্রহী নয়। ফলে এটি তাদের স্বাধীন ব্র্যান্ডিংকে আরও শক্তিশালী করছে।
তবে জিল্লুর রহমান সতর্ক করেন, প্রতীকের ইস্যু দীর্ঘায়িত হলে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এই অনিশ্চয়তা মাঠপর্যায়ের প্রচারণা, প্রার্থীদের পোস্টার, প্রচারসামগ্রী এবং ভোটারদের মাঝে প্রতীক পরিচিতি তৈরিতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শেষ মুহূর্তে যদি এনসিপি সমঝোতার পথে যেতে চায়, তাহলে তাদের রাজনৈতিক বার্তার ধার কিছুটা কমে যেতে পারে। তবু দলটি হয়তো তরুণ সমর্থকদের কাছে কঠোর অবস্থানকেই নীতিনিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে চায়।
জিল্লুর রহমান একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। যেমন—নৌকা প্রতীকের স্থগিতাদেশ ও শাপলা প্রতীক না রাখা—এসবের মাধ্যমে কমিশন একটি নতুন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বলে তিনি মনে করেন। তার ভাষায়, “জাতীয় প্রতীক বা রাষ্ট্রীয় চিহ্নকে ভোটের প্রতীকে পরিণত না করার নীতি শুধু শাপলার ক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতের প্রতীক রাজনীতিতেও একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।”
বিডি/এএন

































