ঐকমত্য মানতেই হবে, বিভেদ নয় : আমীর খসরু

ঐকমত্য মানতেই হবে, বিভেদ নয় : আমীর খসরু ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:৪৫, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, সেটিকে সম্মান জানানোই হবে গণতান্ত্রিক দায়িত্ব।

তিনি মনে করেন, এই ঐকমত্য অস্বীকার করে আলাদা পথে গেলে রাজনীতি ও সমাজে বিভাজন আরও গভীর হবে, যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নবনির্মিত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, আজকের দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে এবং এর মাধ্যমে একটি ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এই সংলাপ কেবল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে না, বরং সমাজকেও ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমরা গত ১৫ বছরে একে অপরের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে কথা বলা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। এখন সময় এসেছে সংলাপের মাধ্যমে সেই বিভাজন কাটিয়ে ওঠার।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংলাপের লক্ষ্যই হলো বোঝাপড়ার জায়গা তৈরি করা। সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়, তবে যেটুকু ঐকমত্যে পৌঁছানো যায় না, সেটি সহনশীলতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নেওয়াই পরিপক্ব রাজনীতির লক্ষণ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো সরকার একা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারে না। এজন্য দরকার সবার অংশগ্রহণ, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধ। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলে দেশ সামনে এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক ছিলেন এক দূরদর্শী মানুষ, যিনি বিশ্বাস করতেন একদিন এই দেশ স্বাধীন হবে। আজ সেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে আমরা গর্বিত।

দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, এখনো দেশে ‘জাতীয়’ ও ‘মফস্বল’ পত্রিকার মধ্যে এক ধরনের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আছে। ঢাকায় প্রকাশিত পত্রিকাকে ‘জাতীয়’ বলা হয়, আর ঢাকার বাইরে প্রকাশিত পত্রিকাকে ‘মফস্বল’। তিনি মনে করেন, এই ধারণা বদলানো দরকার।

দৈনিক আজাদীর অর্থায়নে এবং পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিলনায়তনটি সংস্কার ও নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং সঞ্চালনা করেন অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য গোলাম মওলা মুরাদ।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ) বাংলাদেশ চাপ্টারের চেয়ারম্যান ওসমান গণি মনসুর, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, নির্বাহী সম্পাদক শিহাব মালেক, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালে নোমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, এ্যাবের সভাপতি জানে আলম সেলিম ও বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ হোসাইন। সাংবাদিক, রাজনীতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement