শাশুড়ি খালেদা জিয়ার পাশে পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান
Published : ১৪:১৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় সঙ্গী হওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান।
দেশে নামার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে শাশুড়ির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি একটি সবুজ রঙের গাড়িতে হাসপাতালে প্রবেশ করেন।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জোবায়দাকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, ভাবি সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে কোনো বিরতি ছাড়া তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চলে যান।
বিমানবন্দরে ডা. জোবায়দাকে অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক রিচার্ড বেলি, জোবায়দার বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু ও তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর সৈয়দ শফিউজ্জামান, এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি—চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুল ইসলাম শামস, শারমীন আখতার ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মঈনুল হোসেন।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটে রওনা হন ডা. জোবায়দা।
এদিকে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কারিগরি সমস্যার কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসতে পারেনি, সবকিছু ঠিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থারও কিছুটা অবনতি হয়েছিল। তিনি বলেন, যদি ম্যাডামের শরীর ভ্রমণের উপযোগী থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে জানান, খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার লন্ডন ক্লিনিকে তিনি চিকিৎসা নেন এবং চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর গত ৫ মে একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফেরেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডা. জোবায়দা রহমান।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালে কারামুক্তির পর স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে এসে প্রায় একমাস অবস্থান শেষে তিনি গত ৫ জুন লন্ডনে ফিরে যান।
বিডি/এএন




























