জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গঠনে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গঠনে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৫:২৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, ‘‘একটি দল জুলাই বিপ্লব পরবর্তী এমনভাবে চাঁদাবাজি করেছে এখন প্রতিদিন তাদের ভোট কমতেছে’।

শুধু তাই নয় চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নিজেরা নিজেদের নেতাকর্মীদের খুন করার কারণে দলীয় নেতাকর্মীর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন ‘‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গঠনে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে”। 

ঢাকা -৯ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও জোড়পুকুর মাঠে মার্চ ফর দাঁড়িপাল্লা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের বাংলাদেশ। যেখানে কোনো অন্যায়, অনাচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ থাকবে না।

আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে সমমনা ৮ দলের আলেম-ওলামা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে দুর্নীতি সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত এক নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গঠন হবে। নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।  

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জুলাই সনদ অপরিহার্য। কিন্তু একটি দল নানারকম টালবাহানা করে যাচ্ছে। কত নাটক, কত কথা বলার পর জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও গণভোট আয়োজনে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

শুধু তাই নয় তারা গণভোটে "না" ভোট দিতে তাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছে। অথচ এই জুলাই সনদ জাতির ভবিষ্যৎ মুক্তির সনদ। ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করা সনদ। যারা ফ্যাসিবাদ চায়, যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করতে চায় তারাই গণভোপে ‘না’ ভোট দিবে।

কিন্তু যারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে চায়, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চায়, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের নিঃশেষ চায় তারা গণভোটে ‘‘হ্যাঁ’’ ভোট দিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেবে। নিজের ও জাতির নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের রুখে দিতে, তিনি দেশবাসীকে গণভোটে ‘‘হ্যাঁ” ভোট দিয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চূড়ান্ত করতে আহ্বান জানান। 

সমাবেশে প্রধান বক্তা ঢাকা-৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহমদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যত পরিবর্তন হয়েছে তা যুব সমাজের হাত ধরেই হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এদেশের যুব সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর পথ তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি দলের সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ড। জনগণকেই এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামীর বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব, সন্ত্রাস- চাঁদাবাজ দলের হাতে দেবে নাকি ন্যায় ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ বুঝে নেবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জাতি দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত এক নিরাপদ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ পাবে। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও আসন পরিচালক মাওলানা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণের সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি ও ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাবেশের উদ্বোধন করেন জুলাই আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী শহীদ জুবায়ের আহমেদের গর্বিত পিতা কামাল উদ্দিন। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৯ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও মুগদা-সবুজবাগ জোন সহকারী পরিচালক মনির বিন আনোয়ার, মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও খিলগাঁও জোন সহকারী পরিচালক এস এম মাহমুদ হাসান, খিলগাঁও নাগরিক কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক, সবুজবাগ নাগরিক কমিটির সভাপতি সোহেল আহমেদ, ঢাকা-৯ আসনের যুব বিভাগের পরিচালক রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কার্যকরী সদস্য ইউসুফ আলী।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অবিভক্ত খিলগাঁও থানা আমীর মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ, মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে মু. মতিউর রহমান, মাওলানা আব্দুল বারী, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মোঃ রওশন জামান, সাজেদুর রহমান শিবলী, এডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসাহাক, এডভোকেট এ এম যে ফারুক, মো: ইয়াকুব আলী ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পুর্বের সেক্রেটারিয়েট সদস্য সাইফুল ইসলাম, হাসিব আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে, এক বিশাল মিছিল ঢাকা-৯ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement