সংবাদ প্রকাশের জেরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিক হেনস্তা

সংবাদ প্রকাশের জেরে এভারকেয়ারের সামনে সাংবাদিক হেনস্তা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:০৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫

এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চলমান চিকিৎসা কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। দৈনিক যুগান্তর এর স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ মুসা টানা হাসপাতালের সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিয়ম অনুসারে সংবাদ সংগ্রহ এবং পরিবেশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

গত ১ ডিসেম্বর "এভারকেয়ারের সামনে ছবি ও সেলফি তোলার হিড়িক" শিরোনামে তাঁর সংবাদ প্রকাশ পেলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এরই জের ধরে পরদিন দায়িত্ব পালনের সময় হাসপাতালের সামনে বিএনপির সমর্থক পরিচয় দেওয়া মো. রফিক ইসলাম সশরীরে তাকে হেনস্তা করেন।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি রফিক। ঘটনাস্থল থেকেই নিজের ফেসবুক আইডিতে সরাসরি লাইভ করে সাংবাদিককে অপমানজনকভাবে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন এবং আশপাশে দায়িত্বে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকদেরও একে একে পরিচয় জানতে চান লাইভে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত রফিক ইসলামের বাড়ি পশ্চিম পোল মোগরা, ডাকঘর বড়তাকিয়া, থানা মিরসরাই, ইউনিয়ন ১২-এর ৭ নম্বর ওয়ার্ড। বর্তমানে তিনি ঢাকায় থাকছেন। তবে তিনি বিএনপির কোনো পদে না থাকলেও দলীয় সমর্থকের পরিচয়ে সাংবাদিককে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন  (এমআরএ) তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।এতে  সংগঠনটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেছেন, “সাংবাদিক হেনস্তার এই ঘটনা গভীর উদ্বেগজনক। আমরা চাই- বিএনপি দ্রুত পদক্ষেপ নিক এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এমআরএ সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান বলেছেন, “একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা মানেই পুরো গণমাধ্যমের ওপর হামলা। অপরাধীকে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে—এটাই আমাদের দাবি।”

এমআরএ মনে করে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত না হলে পেশাগত দায়িত্বপালন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই অবিলম্বে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছে সংগঠনটি।


এছাড়াও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও দোষীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement