মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা প্রস্তুতি সম্পন্ন

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা প্রস্তুতি সম্পন্ন ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:১৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের প্রাঙ্গণ এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় জানানো হয়েছে, জাতীয় এই নেত্রীকে সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দিতে প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এই বিশাল জানাজা নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের সড়কগুলোতে বিশেষ ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দাফন কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হওয়ায় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

জানাজা শেষে আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই বেগম খালেদা জিয়াকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। দাফন অনুষ্ঠানে তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপির মনোনীত জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কাউকে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই আপসহীন নেত্রীর বিদায়ে সারাদেশে নেমে এসেছে গভীর শোকের আবহ। জাতীয় সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় ইতোমধ্যেই মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ রাজধানী ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন।

দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ দেশের ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এই নেত্রী জীবনের পরম সত্যের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গভীর বেদনাবিধুর অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement