নানা নাটকীয়তা, বয়কট এবং প্রার্থীর প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে অবশেষে শুরু হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ভোট প্রদানে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের ঠিক আগের রাতে এক প্রার্থী নিজে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এবারের বিসিবি নির্বাচনে মোট ১৯১ জন কাউন্সিলর ভোটার রয়েছেন। তবে ৪৮টি ক্লাব ইতিমধ্যেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১৬ প্রার্থীর মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন ১২ জন পরিচালক। সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ৫৮ জন কাউন্সিলর ই-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেছেন।
ক্যাটাগরি ১-এ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার দুই করে পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। বরিশাল ও সিলেট থেকেও কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া নির্বাচিত হবেন। তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ক্যাটাগরি ১-এর ভোট সরাসরি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্লাব ও ক্যাটাগরি ২-এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে প্রার্থীদের মধ্যে।
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের ভোট প্রতি চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে মোট পরিচালক সংখ্যা ২৫। তিনটি ক্যাটাগরির মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হন।
ক্যাটাগরি-১-এ সাতটি বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থা থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। ক্যাটাগরি-২ থেকে ঢাকা মহানগরের ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে ১২ জন নির্বাচিত হন।
ক্যাটাগরি-৩-এ সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি থেকে ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হন। এর বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দুই জনকে সরাসরি মনোনীত করে পরিচালক করে থাকেন।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার জন্য অবশ্যই পরিচালক হতে হবে। অর্থাৎ নির্বাচিত ২৩ জন ও ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত দুইজনের মধ্যে থেকেই সভাপতি নির্বাচিত হবেন। সভাপতির নির্বাচনে কেবল পরিচালকদের ভোট গণনা করা হবে।
ভোটগ্রহণ সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। সন্ধ্যা ৬টায় ফল ঘোষণা করা হবে। এরপর সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এবং রাত ৯টায় সেই ফল প্রকাশ করা হবে।