নানা নাটকীয়তার পর সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সম্পন্ন হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়।
নির্বাচনে তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এছাড়াও, ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত পরিচালক হিসেবে স্থান পান এম ইসফাক আহসান এবং ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা) থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে নির্বাচিত হন আহসান ইকবাল চৌধুরী ও আসিফ আকবর। খুলনা বিভাগ থেকে নির্বাচিত হন সাবেক স্পিনার খান আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান। সিলেট ও বরিশাল থেকে যথাক্রমে নির্বাচিত হন রাহাত সামস ও শাখাওয়াত হোসেন। ঢাকা বিভাগের আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান নাম প্রত্যাহার করার ফলে পরিচালক হন আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলেছিল। রাজশাহী থেকে নির্বাচিত হন মুখলেসুর রহমান, আর রংপুর থেকে নির্বাচিত হন মো. হাসানুজ্জামান।
ক্যাটাগরি-২ (ঢাকার ক্লাব) থেকে ১৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে দাঁড়ান। বাকি ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ১২ জন নির্বাচিত হন। নির্বাচিতদের মধ্যে আছেন ইসতিয়াক সাদেক, ইফতেখার রহমান মিঠু, আদনান রহমান দীপন, ফায়াজুর রহমান, আবুল বাশার, আমজাদ হোসেন, শানিয়ান তানিম নাভিন, মোখছেদুল কামাল, এম নাজমুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, মনজুর আলম এবং মেহরাব আলম চৌধুরী।
ক্যাটাগরি-৩ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দুজন। এতে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট নির্বাচিত হন, যাকে পরাজিত করেন দেবব্রত পাল।
নির্বাচনের এই ফলাফলের মাধ্যমে বিসিবি পরিচালনা পরিষদের নতুন গঠন চূড়ান্ত হলো, যা ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।