ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, “আমি কখনও কারও পেছন থেকে আঘাত করার চেষ্টা করিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ার কারণে আমার আইডি ডিজেবল করা হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর সুস্থ রাজনীতি চালাতে গিয়ে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। আজকের দিনটি এ জন্য কাম্য ছিল না।”
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল ইসলাম খান আরও বলেন, “নির্বাচনের আগের দিন সাইবার আক্রমণের শঙ্কা করেছিলাম। সকালে প্রমাণ দেখলাম, আমার আইডি ডিজেবল করা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণের মাধ্যমে পুনরায় আইডি ফিরিয়ে এনেছি। ফেসবুকে সচেতন থাকার পোস্টও দিয়েছিলাম। ৫৬-৫৭ মিনিট পর আবার ডিজেবল করা হয়। জানি না নির্বাচনের আগে আর ফিরে পাব কিনা।”
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যারা এই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, তাদের ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। সত্যের জয় সুনিশ্চিত। ঝড়-বৃষ্টি থাকলেও ব্যালটের মাধ্যমে আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। যারা মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তাদেরও শিক্ষার্থীরা ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”
তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়ার অভিযোগ করেন ডাকসু নির্বাচনের ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ও এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ। পরে তারা একাধিক আইডি পুনরুদ্ধারের কথাও জানান।
জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম বলেন, “যারা ভয়ে সাইবার আক্রমণ করছে, তাদের জবাব শিক্ষার্থীরা আগামীকাল ব্যালটের মাধ্যমে দেবে। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, যারা সাইবার এটাক করছে, তারা যদি নির্বাচিত হয়, তাহলে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর আইডি ডিজেবল করে দেবে।”