তদন্তে বেরিয়ে এলো রাব্বানীর অনিয়ম, বৈধ নয় ডাকসুর জিএস পদ

Published : ০০:১২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯ সালের ডাকসু (ডাকসু = ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনের প্রেক্ষিতে যে অনুসন্ধান চলছে তার আইনি ও প্রশাসনিক কর্মফল হিসেবে মিলেছে বড় সিদ্ধান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি বলছে, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হননি; তাই তার ছাত্রত্ব বৈধ নয় এবং ২০১৯ সালের ১১ মার্চের ডাকসু জিএস পদে তার প্রার্থিতা বৈধ ছিল না ফলে নির্বাচিত হওয়া বিষয়টিও অনির্ধারিত বলে সুপারিশ করেছেন তদন্তকারী কমিটি।
এদিকে এই নতুন তথ্য সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তার এম.ফিল ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিন্ডিকেটের এই পদক্ষেপ আইনি ও বিধি-প্রক্রিয়ার আওতায় নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উল্লেখ করে যে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে যে ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল তাদের মধ্যে অনেকগুলোই প্রাথমিকভাবে সত্যপ্রমাণিত মনে হচ্ছে। তদন্তে যেসব অনিয়মের কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছিল: ভোটারদের বাধা দেওয়া, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রভিত্তিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, কেন্দ্রে কৃত্রিম ভিড় তৈরি করে লাইনিং, ব্যালট-এ অবৈধভাবে সীল মারা, কেন্দ্র দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে প্রার্থী হওয়া এবং ব্যালট বাক্স নিয়ে কারচুপি এগুলো কমিটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণসাদৃশ পাওয়ায় গভীরতর অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছে।
এই তদন্ত প্রতিবেদনটি আসলে রাশেদ খানের দায়ের করা অভিযোগভিত্তিক; তিনি চাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও বলবৎ নীতির প্রশ্ন তুলে কমিটিকে তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তদন্তে পাওয়া সুত্র ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে কমিটি পরবর্তী পদক্ষেপ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আরও ব্যাপক অনুসন্ধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও চূড়ান্ত কর্মপদ্ধতি নির্ভর করবে স্বচ্ছ ও গভীর অনুসন্ধানের ওপর।
এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোও ইঙ্গিত দিচ্ছিল যে প্রশাসন হয়তো নির্বাচনী প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল; কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কেউ কেউ বলেছিলেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এই সব অভিযোগের আপেক্ষিকতা যাচাই করার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখাচ্ছে; তবে আইনি ও বিধি-নির্ধারক সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত বিষয়টি চূড়ান্ত নয়।
BD/AN