ইয়েমেনের একদিনে এক বন্দরেই ১২ বার হামলা চালাল ইসরায়েল

Published : ২২:৩৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বন্দর হোদাইদায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) টানা অন্তত ১২ দফা আক্রমণ চালানো হয় কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দরে। খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই হোদাইদার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। এরপর বিমান থেকে একের পর এক মিসাইল ও ভারী বোমা বর্ষণ করা হয়, ফলে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করেছে, হুতি বিদ্রোহীরা ইরান থেকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য এই বন্দর ব্যবহার করে এবং সেই অস্ত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু হুতিদের দাবি ভিন্ন। তাদের মতে, হোদাইদা বন্দর একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো, যার ওপর নির্ভর করে ইয়েমেনের বড় অংশের অর্থনীতি। সাধারণ মানুষের জীবিকা ধ্বংস করতেই ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে বন্দরে হামলা চালাচ্ছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়ে বলেছেন, হুতিদের বিরুদ্ধে নৌ ও আকাশ অবরোধ বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানান, সামনে হুতিরা আরও ভয়াবহ হামলার মুখে পড়বে এবং ইসরায়েলের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে তার জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত দুই সপ্তাহে ইয়েমেনে চালানো ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ ১২ জন মন্ত্রী নিহত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে চালানো এক হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩১ জন সংবাদকর্মী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও সরব হয়েছে। তারা বহুবার ড্রোন ও মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের দিকে এবং লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে ইসরায়েল ও হুতিদের সংঘাত এখন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
BD/AN