চট্টগ্রামের সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রামের সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ২১:৪৯, ২০ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের মীরসরাই বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেজাউল করিম খোকনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন সোমবার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ মামলায় বলা হয়েছে, রেজাউল করিম খোকন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ টাকার স্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। এছাড়া তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত প্রায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজের ও পরিবারের নামে ভোগদখলে রেখেছেন।

২০১৯ সালে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক প্রমাণ পায়, রেজাউল করিম খোকনের বৈধ আয়ের বাইরে উল্লেখযোগ্য সম্পদ রয়েছে। ৩ এপ্রিল ২০১৯ সালে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়, এবং ৬ মে ২০১৯ তারিখে তিনি চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। এতে তিনি নিজের নামে ২৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮১ টাকার স্থাবর এবং ৫২ লাখ ৫০ হাজার ১৫৭ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ে দুদক দেখেছে, প্রকৃতপক্ষে তার নামে ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার ১৯১ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ তিনি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ টাকার সম্পদ লুকিয়েছেন।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে খোকন ও তার পরিবার প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, জোরারগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত দলিলপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই সম্পদ তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

খোকনের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, তিনি ২০১০–১১ করবর্ষ থেকে নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। এই সময়ে তার বৈধ মোট আয় ছিল ১ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪১২ টাকা। কিন্তু তিনি স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ৮৪৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে বৈধ উৎসের বাইরে থাকা সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৩ টাকা। দায় হিসেবে তার ছিল মাত্র ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় অনুসন্ধানের প্রতিবেদন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠায়। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর কমিশনের নির্দেশক্রমে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement