আলোচিত যুগল নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ

আলোচিত যুগল নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ০০:৫২, ২১ অক্টোবর ২০২৫

আলোচিত সেই বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগল অবশেষে বান্দরবান থেকে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের জন্য অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করা। পুলিশ জানিয়েছে, যুগলটি ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা এবং আপলোডের মাধ্যমে বড় অর্থ উপার্জন করছিল।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার যুবকের সঙ্গে থাকা নারী তার তৃতীয় স্ত্রী। যুবক প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তালাকের পর এই নারীকে বিয়ে করেন। এছাড়া, যুবক ২৩ আগস্ট সিএনজি অটোরিকশা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাড়াও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ছিলেন।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের প্রথম ভিডিও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়। এক বছরের মধ্যে তাদের প্রকাশিত ১১২টি ভিডিও ২ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ফলে দুই দিন ধরে পুরো দেশে এই যুগল নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানান, গ্রেপ্তার যুবকের পরিবার সমাজের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ রাখেনি। যুবক চার বছর আগে বাড়ি ছেড়ে যান এবং মাঝে মাঝে ফিরলেও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে মিশতেন না। দুই বছর আগে গ্রেপ্তার হওয়া নারীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং তাকে বিয়ে করেছেন। তাদের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয়রা তাদের এড়িয়ে চলতেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ বলেন, পরিবারটি চুরি ও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং কয়েক দিন আগে তাদের বিরুদ্ধে সিএনজি চুরির অভিযোগে সালিশি বৈঠকও হয়েছে। তারা সঠিক বিচার দাবি করছেন।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, এই যুবক মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এবং সিএনজি চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকার অভিযোগও ছিল। যুগলটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ হিসেবে পরিচয় দিত এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করত।

গবেষণামূলক অনুসন্ধানভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুগলটি ২০২৪ সালের মে থেকে অনলাইনে সক্রিয়। এক বছরের মধ্যে শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেছেন। তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রচার করা হতো। ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলা হয়, যেখানে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছেন এবং সেখানে নতুন ভিডিও লিঙ্ক ও আয়ের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হতো।

অনুসন্ধান আরও জানিয়েছে, তরুণদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখানো হতো এবং “নতুন ক্রিয়েটর যুক্ত করুন, অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান” ধরনের বার্তা প্রচার করা হতো।

এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সিআইডি দেশের ভিতরে পরিচালিত আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদাহরণ স্থাপন করেছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement