মুফতি কাশেমী: ৮–১০ বিয়ে কোনো অন্যায় নয়

Published : ২১:৩৬, ২০ অক্টোবর ২০২৫
আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরোর প্রতিষ্ঠাতা ও ইসলামী বক্তা মুফতি মামুনুর রশিদ কাশেমী বলেছেন, একজন মুসলিম পুরুষ একসঙ্গে চারজন স্ত্রীর বেশি স্ত্রী রাখতে পারবেন না।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জীবনে ৮–১০টি বিয়ে করা কোনো অন্যায় বা নিন্দার বিষয় নয়। এটি সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাভাবিক কিছু পরিস্থিতির প্রতিফলন হতে পারে।
কাশেমী সোমবার (২০ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, বাংলাদেশের সমাজে এমন মানুষ রয়েছে, যাদের এক স্ত্রী টিকতে না টিকে জীবনে ৩–৪টি বিয়ে হয়েছে।
কারও প্রথম স্ত্রী মারা গেছে, কেউ ডিভোর্স করেছে—এইসব কারণে একাধিক বিয়ে হওয়া স্বাভাবিক। তিনি বলেন, যারা একসঙ্গে চারজন স্ত্রী রাখবেন, তাদেরও স্বাভাবিকভাবে দুই-তিনজন স্ত্রীকে যৌক্তিক কারণে তালাক দিতে হতে পারে।
তবে তিনি সতর্ক করেন, যদি কেউ স্ত্রীদের ওপর নির্যাতন বা জুলুম করে, তবে তা এক স্ত্রী বা একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রেই অপরাধ। জুলুম করা পুরুষের বিরুদ্ধে সমাজের সমস্ত স্ত্রীর অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কাশেমী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে অনেক পুরুষই একাধিক স্ত্রীর প্রতি ন্যায়পালন করতে ব্যর্থ হয়, যদিও অধিকাংশ নির্যাতন মামলা মিথ্যা। তাই তারা সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
কাশেমী নিজেও একাধিক বিয়ে করেছেন। তিনি লেখেন, যারা তাকে বা অন্যকে ৮–১০টি বিয়ের জন্য নিন্দা করেন, তাদেরকে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে যদি কেউ বহু বিয়ে এবং তালাককে জঘন্য বা নিন্দার বিষয় বলে, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নবীদের ১০–১৫টি বিয়ের কথা শুনলে ভুল ধারণা পেতে পারে। তিনি বলেন, সাহাবাদের জীবনে একাধিক বিয়ে ও তালাক ছিল, তবে সবগুলো ছিল যৌক্তিক এবং আদর্শিক।
শেষে কাশেমী পরিষ্কার করেন, বর্তমানেও যদি কারও জীবনে একাধিক বিয়ে হয় এবং তা আদর্শিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে তা কোনো ধরনের অপরাধ নয়। এক স্ত্রী হোক বা একাধিক স্ত্রী, জুলুম না থাকলে এবং উভয় পক্ষ আদর্শিকভাবে থাকলে, সমাজে তা গ্রহণযোগ্য।
বিডি/এএন