এআইয়ের শিকার, ভাইয়ের আত্মহত্যা
Published : ১৯:৫২, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের হরিয়ানার ফারিদাবাদে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক তরুণকে ব্ল্যাকমেল করার জেরে প্রাণ হারাতে হলো তাকে।
১৯ বছর বয়সী রাহুল নামের ওই তরুণ তার তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর পর মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ‘সাহিল’ নামের এক ব্যক্তি রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে এসব বিকৃত ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ২০ হাজার রুপি দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি রাহুলকে ভয় দেখিয়ে বলেন, টাকা না দিলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শেষ কথোপকথনে সাহিল রাহুলকে একটি লোকেশন পাঠিয়ে লেখেন, “আজা মেরে পাস” (আমার কাছে চলে আসো)।
রাহুলের বাবা মনোজ ভারতী এনডিটিভিকে জানান, অচেনা ওই ব্যক্তি নিয়মিতভাবে রাহুলের ফোনে তার তিন মেয়ের বিকৃত ছবি পাঠাচ্ছিলেন এবং টাকার দাবি করছিলেন। এতে রাহুল ভীষণ মানসিক চাপে পড়ে যায়। তিনি ঠিকমতো খেতেন না, সারাদিন ঘরে চুপচাপ থাকতেন, উদ্বেগে ভুগতেন।
মনোজ আরও জানান, সেই ব্যক্তি রাহুলকে আত্মহত্যার পরামর্শও দিয়েছিলেন—কোন ওষুধ খেলে মৃত্যু হবে, সেটিও বলে দেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাহুল কিছু ওষুধ খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রাহুলের মা মীনা দেবী অভিযোগ করেন, তার ভাশুর নীরজ ভারতী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে রাহুলের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আগে পারিবারিক বিরোধের পর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিল। মীনা দেবীর দাবি, নীরজ ও এক নারী মিলে পুরো ষড়যন্ত্রটি সাজিয়েছেন।
রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানিয়েছেন, রাহুল বিষপান করেছিলেন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এখন পুলিশ ঘটনার পেছনের আসল কারণ ও জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে।
বিডি/এএন






























