বেবিচকের পরিচালক ‘দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন’

বেবিচকের পরিচালক ‘দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন’ ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৪৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

‘দেশ ছেড়ে পালিয়েছে’ এমন অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের বর্তমান পরিচালক (এয়ারওয়ার্ডিনেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ‘পলাতক’ হিসেবে উল্লেখ করে বেবিচক বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে।

বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে মোহাম্মদ আবু সাঈদ মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে আবু সাঈদ মালয়েশিয়ায় চাকরিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে বেবিচকে আবেদন করেছিলেন। ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিষয়টি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হলেও প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত হয়ে যান।

সূত্র জানায়, আবু সাঈদ ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০ দিনের ছুটি নেন। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার পর তিনি কোনো অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে যোগ দেননি। এরপর ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগ থেকে একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি।

বেবিচকের প্রশাসন বিভাগ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে বারবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানায়, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং কর্মস্থলে লিখিতভাবে নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো চিঠিও ফেরত এসেছে।

কোনো অনুমতি ছাড়াই টানা ৬০ দিনের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে বেবিচকের কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী তার এই অনুপস্থিতিকে ‘পলায়ন’ হিসেবে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে এটিকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকের স্বাক্ষরে মোহাম্মদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নং-১১/২০২৫) দায়ের করা হয়।

অভিযোগনামায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে চাকরি থেকে বরখাস্তকরণসহ চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—এর লিখিত জবাব দিতে। তবে সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে তাকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আবু সাঈদের তিনটি গ্রামীণফোন নম্বর এবং একটি রবি নম্বরে ফোন পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement