গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান পদত্যাগ করেছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে তিনি এই পদত্যাগ করেছেন।
দল পরিবর্তনের বিষয়ে নেতাকর্মীদের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রাশেদ খান জানান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন ও রাজনীতিতে তিনি নূরসহ দলের সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় তাঁর কোনো আচরণ বা বক্তব্যে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়ে সভাপতির সম্মতি পাওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও পারস্পরিক সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে অটুট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে নূরের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করে দলের প্রতি শুভকামনা জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) গণঅধিকার পরিষদ দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশেদ খানকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুমোদন দেয়। দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর জানান, আন্দোলন-সংগ্রাম বিএনপির নেতৃত্বে ও তাদের সমন্বয়ে পরিচালিত হওয়ায় ভবিষ্যতেও যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে থাকার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান আরপিও অনুযায়ী জোটবদ্ধ হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ প্রতীকে অংশ নেন। বাস্তবতা বিবেচনায় সব আসনে সব প্রতীকে জয় সম্ভব নয় বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
