৩ ঘণ্টায় পাগলা মসজিদে যত টাকা গণনা হলো

৩ ঘণ্টায় পাগলা মসজিদে যত টাকা গণনা হলো ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৪:০৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া রেকর্ড ৩৫ বস্তা টাকার গণনা শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংক, কিশোরগঞ্জ শাখার ডিজিএম রফিকুল ইসলাম গণনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তার বক্তব্য অনুযায়ী, ৩ ঘণ্টার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে।

সকাল ৭টায় মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। তারপর সব টাকা বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তালার মেঝেতে আনা হয় এবং সকাল ৯টার দিকে গণনার কাজ শুরু হয়। গণনার কাজে অংশ নিয়েছে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ।

এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় দানবাক্স খোলার সময় পার হওয়ায় মসজিদে থাকা ১০টি লোহার দান সিন্ধুকের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩টি টিনের বাক্সও রাখা হয়েছে। মোট ১৩টি সিন্ধুক খোলার পর রেকর্ড ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এরপর এসব টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনা শুরু করা হয়।

দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানসহ বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ আগস্ট পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদ, জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। এই দানবাক্সের তহবিল স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement