কুড়িগ্রামের ৯ কলেজে একেবারেই শিক্ষার্থী কেউ পাস হয়নি

Published : ১৮:০২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামে ৯টি কলেজের শিক্ষার্থীরা এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একেবারেই পাশ করতে পারেনি। ওই কলেজগুলো হল—নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ, সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজ,
ছিলাখানা মডেল কলেজ, ফুলবাড়ি উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ, রাজারহাট উপজেলার শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ, রৈমারী উপজেলা টাপুর চর স্কুল ও কলেজ, চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ এবং উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ। এই ৯টি কলেজের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করলেও শুধুমাত্র ৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সকল শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
বিশেষ করে, কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৩ জন, সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজ থেকে ১ জন এবং ছিলাখানা মডেল কলেজ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন, যারা সবাই ফেল হয়েছেন। এছাড়া, ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ থেকে ১ জন, শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ থেকে ১০ জন, রাশেদ খান মেনন কলেজ থেকে ১২ জন, টাপুর চর স্কুল ও কলেজ থেকে ৪ জন এবং চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন।
কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এমন ফলাফলের বিষয়টি হয়েছে। ছিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, গত বছরও পরীক্ষার ফল ভালো ছিল। তবে এবারের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকে ফরম পূরণ করতেই চাইনি, ফরম ফিলাপ করতে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।
সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক চলে গেছেন, ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম বলেন, কলেজে মোটামুটি পাঠদান হয়, তবে কেন শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে তা বোঝা যায়নি। তবে পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. আমীর আলী জানান, শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি/এএন